শয়তানের ইতিহাস
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, শয়তানের (ইবলিসের) সৃষ্টি সম্পর্কে তথ্য কুরআন ও হাদিস থেকে পাওয়া যায়। কুরআনে উল্লেখ রয়েছে যে, শয়তান বা ইবলিস জিনদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত এবং তাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
কুরআনের বর্ণনা:
যখন আল্লাহ আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করেন এবং ফেরেশতাদের
তাকে সিজদা করার আদেশ দেন, তখন ইবলিস এই আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানায়। ইবলিসের কথা
ছিল:
(সূরা আল-আরাফ, আয়াত ১২)
1.
ইবলিসের সৃষ্টির
উপাদান:
আল্লাহ বলেন:
(সূরা আর-রহমান, আয়াত ১৫)
"আর আমি জিনকে
সৃষ্টি করেছি আগুনের নির্গত শিখা থেকে।"
2.
ইবলিসের বিদ্রোহ:
"তুমি আমাকে আগুন
থেকে সৃষ্টি করেছ, আর তাকে (আদমকে) মাটি থেকে সৃষ্টি করেছ।"
এই বিদ্রোহের কারণেই ইবলিস আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত
হয় এবং শয়তান হয়ে যায়।
সংক্ষেপে শয়তানের জন্ম:
- ইবলিস জিন, এবং তাকে ধোঁয়াবিহীন আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
- তার অহংকার ও অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ তাকে অভিশপ্ত করেন এবং সে শয়তান
নামে পরিচিত হয়।
- এরপর থেকে শয়তান মানুষের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে এবং মানুষকে পথভ্রষ্ট
করার কাজে নিয়োজিত থাকে।
শয়তানের পিতা-মাতার পরিচয়
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে শয়তান বা ইবলিসের কোনো পিতা বা মাতা নেই। কুরআন ও
হাদিসে এটি স্পষ্ট যে,
ইবলিসকে আল্লাহ সরাসরি সৃষ্টি করেছেন। ইবলিস জিনদের
অন্তর্ভুক্ত, এবং তাকে ধোঁয়াবিহীন আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে।
কুরআনের প্রমাণ:
আল্লাহ বলেন:
"আর আমি জিনকে সৃষ্টি করেছি আগুনের নির্গত শিখা থেকে।"
(সূরা আর-রহমান, আয়াত ১৫)
এই আয়াতে বোঝা যায় যে,
জিনদের (যার মধ্যে ইবলিসও অন্তর্ভুক্ত) সৃষ্টি আল্লাহর
বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। এখানে কোনো পিতা-মাতার উল্লেখ নেই।
শয়তানের বংশধর:
ইবলিসের সন্তান বা বংশধরের বিষয়ে কুরআনে একটি ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ বলেন:
"তোমরা কি তাকে (ইবলিসকে) এবং তার বংশধরদেরকে আমার পরিবর্তে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ
করবে?"
(সূরা আল-কাহফ, আয়াত ৫০)
এই আয়াতে বোঝা যায় যে, ইবলিসের বংশধর বা সন্তান রয়েছে। তবে কিভাবে তার সন্তান হয়েছে, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বিশদ বর্ণনা নেই। কিছু ব্যাখ্যাকারকের মতে, এটি জিনদের প্রজননের মাধ্যমে হয়েছে, কারণ জিনদের সন্তান ধারণ করার ক্ষমতা রয়েছে। তবে এটি আল্লাহর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল এবং মানবজাতির মতো নয়।
উপসংহার:
শয়তানের (ইবলিসের) কোনো পিতা-মাতা নেই। তাকে সরাসরি আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তার
বংশধর রয়েছে, তবে কিভাবে তা হয়েছে,
সে বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য ইসলামী উৎসে পাওয়া যায় না। এটি
আল্লাহর ইচ্ছার অংশ এবং বিশ্বাসের জায়গা থেকে এটি মেনে নেওয়া হয়।
শয়তানের সন্তান কত জন?
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে শয়তানের (ইবলিসের) সন্তানদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট
কোনো তথ্য কুরআন বা সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় না। তবে কুরআন ও হাদিসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইবলিসের
সন্তান ও বংশধর রয়েছে,
এবং তারা মানুষকে পথভ্রষ্ট করার কাজে লিপ্ত থাকে।
কুরআনের ইঙ্গিত:
আল্লাহ বলেন:
"তোমরা কি তাকে (ইবলিসকে) এবং তার বংশধরদেরকে আমার পরিবর্তে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ
করবে?
অথচ তারা তোমাদের শত্রু!"
(সূরা আল-কাহফ, আয়াত ৫০)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, ইবলিসের বংশধর রয়েছে। তবে তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যা কুরআনে
উল্লেখ করা হয়নি।
হাদিসে ইঙ্গিত:
কিছু হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, ইবলিসের সন্তানরা বিভিন্ন দুষ্ট কাজ ও প্ররোচনায় নিয়োজিত
থাকে। একটি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, ইবলিস তার সন্তানদের বিভিন্ন
কাজে দায়িত্ব দেয়,
যেমন—লোকজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা, ব্যভিচার
ঘটানো ইত্যাদি।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"ইবলিস তার সিংহাসন পানিতে স্থাপন করে, তারপর তার সৈন্যদের পাঠায়। তার সৈন্যদের মধ্যে যে কেউ সবচেয়ে বেশি ফিতনা
সৃষ্টি করে, তাকে সে সবচেয়ে বেশি প্রিয় মনে
করে।"
(সহিহ মুসলিম: ৫০২৩)
শয়তানের সন্তান জন্মের প্রসঙ্গ:
কিছু ইসলামী পণ্ডিতের মতে, জিনদের প্রজননের ক্ষমতা রয়েছে, এবং ইবলিস এই ক্ষমতার মাধ্যমে তার বংশধরদের সৃষ্টি করে। তবে এর বিস্তারিত প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, কারণ এটি আল্লাহর ইচ্ছার অন্তর্ভুক্ত।
উপসংহার:
শয়তানের সন্তানদের সংখ্যা কুরআন বা সহিহ হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি। তবে তার অনেক বংশধর রয়েছে, যারা বিভিন্ন রকম দুষ্ট কাজের জন্য নিয়োজিত। তাদের কাজ হলো মানুষকে আল্লাহর পথে থেকে সরিয়ে দুষ্ট পথে পরিচালিত করা।
শয়তানের সন্তান
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে শয়তানের (ইবলিসের) সন্তানদের সংখ্যা সম্পর্কে নির্দিষ্ট
কোনো তথ্য কুরআন বা সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় না। তবে কুরআন ও হাদিসে ইঙ্গিত রয়েছে যে, ইবলিসের
সন্তান ও বংশধর রয়েছে,
এবং তারা মানুষকে পথভ্রষ্ট করার কাজে লিপ্ত থাকে।
কুরআনের ইঙ্গিত:
আল্লাহ বলেন:
"তোমরা কি তাকে (ইবলিসকে) এবং তার বংশধরদেরকে আমার পরিবর্তে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ
করবে?
অথচ তারা তোমাদের শত্রু!"
(সূরা আল-কাহফ, আয়াত ৫০)
এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, ইবলিসের বংশধর রয়েছে। তবে তাদের নির্দিষ্ট সংখ্যা কুরআনে
উল্লেখ করা হয়নি।
হাদিসে ইঙ্গিত:
কিছু হাদিস থেকে বোঝা যায় যে, ইবলিসের সন্তানরা বিভিন্ন দুষ্ট কাজ ও প্ররোচনায় নিয়োজিত
থাকে। একটি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, ইবলিস তার সন্তানদের বিভিন্ন
কাজে দায়িত্ব দেয়,
যেমন—লোকজনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা, ব্যভিচার
ঘটানো ইত্যাদি।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
"ইবলিস তার সিংহাসন পানিতে স্থাপন করে, তারপর তার সৈন্যদের পাঠায়। তার সৈন্যদের মধ্যে যে কেউ সবচেয়ে বেশি ফিতনা
সৃষ্টি করে, তাকে সে সবচেয়ে বেশি প্রিয় মনে
করে।"
(সহিহ মুসলিম: ৫০২৩)
শয়তানের সন্তান জন্মের প্রসঙ্গ:
কিছু ইসলামী পণ্ডিতের মতে, জিনদের প্রজননের ক্ষমতা রয়েছে, এবং ইবলিস এই ক্ষমতার মাধ্যমে তার বংশধরদের সৃষ্টি করে। তবে এর বিস্তারিত প্রক্রিয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই, কারণ এটি আল্লাহর ইচ্ছার অন্তর্ভুক্ত।
উপসংহার:
শয়তানের সন্তানদের সংখ্যা কুরআন বা সহিহ হাদিসে উল্লেখ করা হয়নি। তবে তার অনেক
বংশধর রয়েছে, যারা বিভিন্ন রকম দুষ্ট কাজের জন্য নিয়োজিত। তাদের কাজ হলো মানুষকে আল্লাহর
পথে থেকে সরিয়ে দুষ্ট পথে পরিচালিত করা।
অন্য ধর্মের গ্রন্থ বলিতে শয়তান সম্পর্কে কী বলা হয়েছে?
এই ছবিটি বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থে শয়তান সম্পর্কে ধারণাগুলির প্রতীকী চিত্রায়ন হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। আপনার মতামত জানালে আনন্দিত হব! |
শয়তান বা তার সমতুল্য ধারণা প্রায় সব প্রধান ধর্মে
বিদ্যমান, তবে প্রতিটি ধর্মে শয়তানকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা
হয়েছে। এখানে প্রধান ধর্মগুলোতে শয়তান সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
১. খ্রিস্টধর্ম (Christianity):
- খ্রিস্টধর্মে শয়তানকে সাধারণত "Satan" নামে উল্লেখ করা হয়। তাকে বিদ্রোহী স্বর্গদূত (ফেরেশতা) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যে অহংকার ও ঈশ্বরের প্রতি বিদ্রোহের কারণে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়।
- বাইবেলের উল্লেখ:
- শয়তানকে পৃথিবীতে মানুষের পরীক্ষা নেওয়ার এবং পাপের দিকে প্রলুব্ধ করার জন্য দায়ী করা হয়।
- "Book of Job"-এ শয়তানকে ঈশ্বরের কাছে মানুষের ঈমান পরীক্ষা করার অনুমতি চাইতে দেখা যায়।
- নতুন নিয়মে (New Testament), শয়তানকে "লুসিফার" (Lucifer) নামেও উল্লেখ করা হয়েছে, যা মানে "আলোর বাহক"। সে আদম এবং হাওয়াকে নিষিদ্ধ ফল খেতে প্রলুব্ধ করেন।
- শয়তানকে "শয়তানের রাজা" (King of Satan) বা "অন্ধকারের প্রভু" (Lord of Darkness) হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে সর্বদা ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে কাজ করে।
২. ইহুদী ধর্ম (Judaism):
- ইহুদী ধর্মে শয়তানকে "שָּׂטָן" (শাতান) বলা হয়, যার অর্থ "বিরোধী" বা "প্রতিদ্বন্দ্বী।"
- ইহুদী ধর্মে শয়তান মূলত ঈশ্বরের একটি অধীনস্থ সত্তা, যার কাজ হলো মানুষের ঈমান পরীক্ষা করা। সে সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে না।
- তানাখ (Tanakh):
- "Book of Job"-এ শয়তানকে ঈশ্বরের আদেশে কাজ করতে দেখা যায়।
- তাকে সরাসরি খারাপ সত্তা হিসেবে চিহ্নিত করা হয় না বরং একটি পরীক্ষক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
৩. হিন্দুধর্ম (Hinduism):
- হিন্দুধর্মে "শয়তান" শব্দটি সরাসরি ব্যবহৃত হয় না, তবে অশুভ শক্তি ও দুষ্ট সত্তাগুলোর ধারণা রয়েছে।
- "অশুভ শক্তি" (Asuras):
- হিন্দুধর্মে "অসুর" (Asura) এবং "রাক্ষস" (Rakshasa) শব্দগুলো দুষ্ট শক্তির প্রতীক। তারা দেবতাদের বিপরীতে অবস্থান করে এবং মানুষের মধ্যে অজ্ঞতা ও বিভ্রান্তি ছড়ায়।
- মহাভারত এবং রামায়ণে অসুর ও রাক্ষসদের কাজ মানুষের পরীক্ষা নেওয়া এবং দুষ্ট পথ দেখানো।
- কালি (Kali):
- কালি বা কালনাগিনী হলো একটি ধ্বংসাত্মক শক্তি, যা অশুভ কালের প্রতিনিধিত্ব করে। তাকে অনেক সময় শয়তানের সাথে তুলনা
করা হয়।
৪. বৌদ্ধধর্ম (Buddhism):
- বৌদ্ধধর্মে শয়তানের ধারণা "মারা" (Mara) নামে পরিচিত। সেমানুষের মধ্যে লোভ, মোহ, এবং অহংকার সৃষ্টি করে নির্বাণের পথে বাধা সৃষ্টি
করেন।
- মারা সম্পর্কে উল্লেখ:
- বুদ্ধ যখন বোধি গাছের নিচে ধ্যানরত ছিলেন, তখন মারা বুদ্ধকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেন।
- মারাকে মানুষের মনের দুষ্ট ইচ্ছার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৫. যোরোঅস্ট্রিয়ান
ধর্ম (Zoroastrianism):
- যোরোঅস্ট্রিয়ান ধর্মে শয়তানের সমতুল্য হলো "আহরিমান" (Angra Mainyu)।
- আহরিমান হলো খারাপ ও ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রতীক, যে "আহুরা মাজদা" (Ahura Mazda)-র বিরুদ্ধে লড়াই করেন।
- এই ধর্মে দুষ্টতা এবং শুভ শক্তির মধ্যে চিরস্থায়ী দ্বন্দ্বের ধারণা
রয়েছে।
৬. গ্রিক এবং রোমান
মিথোলজি:
- গ্রিক ও রোমান ধর্মে সরাসরি "শয়তান" নেই, তবে দুষ্ট দেবতা বা শক্তি রয়েছে যারা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ও ধ্বংস সৃষ্টি করে।
- যেমন: গ্রিক মিথে "হেডিস" (Hades) এবং "এরিস" (Eris) দুষ্টতার প্রতীক।
সংক্ষেপে তুলনামূলক বিশ্লেষণ:
- ইসলামে: শয়তানকে জিন ও আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সেআল্লাহর আদেশ অমান্য করার জন্য অভিশপ্ত হন।
- খ্রিস্টধর্মে: শয়তান বিদ্রোহী ফেরেশতা, যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।
- ইহুদী ধর্মে: শয়তান ঈশ্বরের একজন পরীক্ষক।
- হিন্দুধর্মে: অশুভ শক্তি বা অসুরদের মাধ্যমে শয়তানের ধারণা প্রকাশিত।
- বৌদ্ধধর্মে: শয়তান হলো "মারা," যে মানুষের মনের দুষ্ট ইচ্ছার প্রতীক।
- যোরোঅস্ট্রিয়ান ধর্মে: আহরিমান হলো দুষ্ট শক্তির প্রতীক।
Comparative Analysis
Religion |
Concept of Satan |
Role |
Nature of Creation |
Opposes |
Islam |
Satan (Iblis) |
Enemy of humankind |
Created from smokeless fire |
Allah |
Christianity |
Satan (Lucifer) |
Adversary of God and tempter |
Fallen angel |
God |
Judaism |
Satan (Shatan) |
Tester of faith |
Subordinate to God |
Humanity's righteousness |
Hinduism |
Asuras/Rakshasas |
Spread chaos and ignorance |
Supernatural beings |
Devas and Dharma (cosmic law) |
Buddhism |
Mara |
Symbol of desire and delusion |
Personification of human weaknesses |
Enlightenment (Nirvana) |
Zoroastrianism |
Angra Mainyu (Ahriman) |
Opponent of truth and light |
Spirit of destruction |
Ahura Mazda |